রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
বরিশালে রমজানকে সামনে রেখে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম

বরিশালে রমজানকে সামনে রেখে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম

দখিনের খবর ডেস্ক ॥ বরিশালে শবেবরাত ও রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। মুরগি, গরুর মাংস এবং চিনি আগের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের এছাড়া সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে সবজির দাম। কয়েক মাস ধরে বাড়তে থাকা চালের দাম এখনো পড়েনি। পাশাপাশি ভোজ্য তেল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও চড়া। শনিবার (২০ মার্চ) সকালে নগরীর বিভিন্ন কাচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, যেসব সবজি গত দুই সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকায়, এখন দাম বড়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিম ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০, ফুলকপি ২০ টাকা থেকে ৩০, বেগুন ৩০ টাকা থেকে ৪০, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা থেকে ৪০, শসা ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০, মটরশুঁটি ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি শিম টমেটো ২০ থেকে ২৫, শালগম ১০, ধনেপাতা ৫০, কাঁচামরিচ ৪০, বাঁধাকপি ১৫, বরবটি ৬০, গাজর ৩০, পেঁপে ২০, মিষ্টি কুমড়া ২০, করলা ৬০, আলু ১৮, পেঁয়াজ ৪০, আদা ৭০-৭৫, মসুর ডাল (বড়দানা) ৭০ থেকে ৭৫, রসুন ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চৌমাথা কাচা বাজারে সবজি বিক্রেতা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সবজির সরবরাহ অনেক কম। তাই দামও বেশি। তাছাড়া গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম কেজিপ্রতি ৬৬ থেকে বেড়ে ৬৮ থেকে ৭০ টাকায় খুচরা বাজারে বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেলের প্রতি লিটারের দাম ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। প্যাকেট আটার দাম ৩২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বেসন ৮০ থেকে ১২০, মুড়ি ১২০ ও চিড়া ৬০ থেকে ৬৫ টাকা টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।’ রমজান মাসে ইফতারে ছোলা ও খেজুর অন্যতম একটি উপাদান। এ মাসকে ঘিরে চাহিদাও থাকে ব্যাপক। খুচরা বাজারে প্রকারভেদে ২৫০ থেকে ৯৫০ টাকা প্রতি কেজি খেজুর বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে ছোলা ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ে চাল আমদানি করা হলেও খুচরা বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি। বাজারে সরু মিনিকেট চাল ৬২ থেকে ৬৪ টাকা, নাজিরশাইল ৭০ বিআর-২৮ চাল ৫৪ টাকা, পাইজাম ৪৮ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মুরগির দাম। কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা দরে। ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ১৫০ টাকা চাইছেন, যা আগের চেয়ে ১০ টাকা বেশি। কক বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি দরে। চৌমাথা বাজারে বিক্রেতারা ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ১৫০ টাকা চাইছেন, যা আগের চেয়ে ১০টাকা বেশি। ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে হালিপ্রতি ৩০ টাকায়। সপ্তাহ দুয়েক আগেও ডিমের হালি ছিল ২৮ টাকা। চৌমাথা বাজারের গ্রামীণ মুরগি ঘর নামের দোকানের মালিক শওকত হোসেন বলেন, ‘মুরগির চাহিদা বেড়ে গেছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিলে খামারিরা কিছুটা দাম বাড়িয়ে দেন। সামনে শবে বরাত ও রমজান মাস। মুরগির দাম আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মুরগির পাশাপাশি গরুর মাংসের দামও বেড়েছে। বাজার ভেদে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে আজ গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৬০০ টাকা দরে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৯০০ টাকায়। নগরীর বাজার রোডের পুরান বাজারের মাংস ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম জানান, ‘গরুর দাম বেড়েছে। আগে যে গরু বিক্রি হয়েছে ৫০ হাজার টাকায়, এখন তা ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই গরুর মাংস কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়েছে।’ মাছের দামও কিছুটা বেড়েছে। বড় শোল মাছ প্রতি কেজি আগে ৬৫০ টাকার কাছাকাছি ছিল, এখন ৭০০ টাকা। চিংড়ির কেজিপ্রতি দর ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে এখন আকারভেদে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রুই-কাতলা, বোয়াল, তেলাপিয়া, চাষের কই, শিং, মাগুর মাছও তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com